Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

শিরোনাম
উপজেলা পরিষদ আইন, ১৯৯৮
বিস্তারিত
 
 
 
 
উপজেলা পরিষদ আইন, ১৯৯৮
 
( ১৯৯৮ সনের ২৪ নং আইন )
  [৩ ডিসেম্বর, ১৯৯৮]
     
      উপজেলা পরিষদ নামক স্থানীয় শাসন সংক্রান্ত প্রতিষ্ঠান স্থাপনকল্পে প্রণীত আইন৷
 
 

যেহেতু সংবিধানের ৫৯ অনুচ্ছেদ অনুসারে নির্বাচিত প্রতিনিধিগণের সমন্বয়ে উপজেলা পরিষদ নামক স্থানীয় শাসন সংক্রান্ত প্রতিষ্ঠান স্থাপন এবং আনুষঙ্গিক বিষয়াদি সম্পর্কে বিধান করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়;

সেহেতু এতদ্‌দ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল :-
 
   
     
   
সংক্ষিপ্ত শিরোনামা ও প্রবর্তন  
১৷ (১) এই আইন উপজেলা পরিষদ আইন, ১৯৯৮ নামে অভিহিত হইবে৷

(২) সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, যে তারিখ নির্ধারণ করিবে সেই তারিখে ইহা বলবৎ হইবে ।

* এস, আর, ও নং ১৫-আইন/১৯৯৯, তারিখ: ২৭ শে জানুয়ারী, ১৯৯৯ ইং দ্বারা ১৯শে মাঘ, ১৪০৫ বঙ্গাব্দ মোতাবেক ১লা ফেব্রুয়ারী, ১৯৯৯ ইং উক্ত আইন কার্যকর হইয়াছে।
   
 
   
     
   
সংজ্ঞা  
২৷ বিষয় বা প্রসংগের পরিপন্থী কোন কিছু না থাকিলে, এই আইনে,-

[ (ক) "অস্থায়ী চেয়ারম্যান" অর্থ চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতিতে দায়িত্ব পালনকারী ব্যক্তি;]

(খ) “ইউনিয়ন” এবং “ইউনিয়ন পরিষদ” অর্থ The Local Government (Union Parishads) Ordinance, 1983 (LI of 1983) এর section 2 এর যথাক্রমে clauses (26) এবং (27) এ সংজ্ঞায়িত "Union” এবং "Union Parishad” ;

(গ) “ইউনিয়ন প্রতিনিধি” অর্থ ধারা ৬ (গ) তে উল্লিখিত ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বা তাঁহার দায়িত্ব পালনকারী ব্যক্তি;

(ঘ) “উপজেলা” অর্থ ধারা ৩ এর অধীনে ঘোষিত কোন উপজেলা;

(ঙ) “কর” বলিতে এই আইনের অধীনে আরোপনীয় বা আদায়যোগ্য কোন রেইট, টোল, ফিস, বা অনুরূপ অন্য কোন অর্থ ও ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে;

(চ) “চেয়ারম্যান” অর্থ পরিষদের চেয়ারম্যান;

(ছ) “তফসিল” অর্থ এই আইনের কোন তফসিল;

(জ) “পরিষদ” অর্থ এই আইনের বিধান অনুযায়ী গঠিত উপজেলা পরিষদ;

(ঝ) “প্রবিধান” অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত প্রবিধান;

[ (ঞ) "পৌর প্রতিনিধি" অর্থ ধারা ৬ এর উপ-ধারা (১) এর দফা (ঘ)তে উল্লিখিত পৌরসভার মেয়র বা সাময়িকভাবে তাহার দায়িত্ব পালনকারী ব্যক্তি;]

(ট) “বিধি” অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত বিধি;

[ (ঠ) "ভাইস চেয়ারম্যান" অর্থ পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান;

(ড) "মহিলা সদস্য" অর্থ ধারা ৬ এর উপ-ধারা (১) এর দফা (ঙ) তে উল্লেখিত পরিষদের সংরক্ষিত আসনে নির্বাচিত মহিলা সদস্য;

[ (ডড) ‘‘রাজনৈতিক দল’’ অর্থ Representation of the People Order, 1972 (P.O.No. 155 of 1972) এর Article 2(xixa) তে সংজ্ঞায়িত registered political party;]

(ঢ) "সদস্য" অর্থ পরিষদের চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যানসহ অন্য যে কোন সদস্য [ ;

(ণ) ‘‘স্বতন্ত্র প্রার্থী’’ অর্থ এইরূপ কোন প্রার্থী যিনি কোন রাজনৈতিক দল কর্তৃক মনোনয়নপ্রাপ্ত নহেন।]]
   
 
   
     
   
উপজেলা ঘোষণা  
৩৷ (১) এতদ্‌দ্বারা প্রথম তফসিলের তৃতীয় কলামে উল্লিখিত প্রত্যেক থানার এলাকাকে উক্ত কলামে উল্লিখিত নামের উপজেলা ঘোষণা করা হইল।

(২) এই আইন বলবৎ হইবার পর সরকার সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে কোন নির্দিষ্ট এলাকা সমন্বয়ে নূতন উপজেলা ঘোষণা করিতে পারিবে।
   
 
   
     
   
উপজেলাকে প্রশাসনিক একাংশ ঘোষণা  
৪৷ ধারা ৩ এর অধীনে ঘোষিত প্রত্যেকটি উপজেলাকে, সংবিধানের ১৫২(১) অনুচ্ছেদের সহিত পঠিতব্য ৫৯ অনুচ্ছেদের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, এতদ্বারা প্রজাতন্ত্রের প্রশাসনিক একাংশ বলিয়া ঘোষণা করা হইল৷
   
 
   
     
   
উপজেলা পরিষদ স্থাপন  
৫৷ (১) এই আইন বলবৎ হইবার পর, যতশীঘ্র সম্ভব, প্রত্যেক উপজেলায় এই আইনের বিধান অনুযায়ী একটি উপজেলা পরিষদ স্থাপিত হইবে।

(২) পরিষদ একটি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা হইবে এবং ইহার স্থায়ী ধারাবাহিকতা ও একটি সাধারণ সীলমোহর থাকিবে এবং এই আইন ও বিধি সাপেক্ষে, ইহার স্থাবর ও অস্থাবর উভয় প্রকার সম্পত্তি অর্জন করার, অধিকারে রাখার ও হস্তান্তর করার ক্ষমতা থাকিবে এবং ইহার নামে ইহা মামলা দায়ের করিতে পারিবে বা ইহার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা যাইবে৷
   
 
   
     
   
পরিষদের গঠন  
[ ৬। (১) এই আইনের বিধান অনুযায়ী নিম্নবর্ণিত ব্যক্তিগণ সমন্বয়ে উপজেলা পরিষদ গঠিত হইবে, যথা :-

(ক) চেয়ারম্যান;

(খ) দুইজন ভাইস চেয়ারম্যান, যাহার মধ্যে একজন মহিলা হইবেন;

(গ) উপজেলার এলাকাভুক্ত প্রত্যেক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বা সাময়িকভাবে চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব পালনকারী ব্যক্তি;

(ঘ) উপজেলার এলাকাভুক্ত প্রত্যেক পৌরসভা, যদি থাকে, এর মেয়র বা সাময়িকভাবে মেয়রের দায়িত্ব পালনকারী ব্যক্তি; এবং

(ঙ) উপ-ধারা (৪) অনুযায়ী সংরক্ষিত আসনের মহিলা সদস্যগণ।

(২) উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানগণ নির্বাচন কমিশন কর্তৃক প্রণীত ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত ভোটারদের দ্বারা নির্বাচন কমিশন কর্তৃক নির্ধারিত সময়, স্থান ও পদ্ধতিতে গোপন ব্যালটের মাধ্যমে সরাসরি নির্বাচিত হইবেন।

(৩) কোন উপজেলার এলাকাভুক্ত কোন ইউনিয়ন পরিষদ বা পৌরসভা বাতিল হইবার কারণে উপ-ধারা (১) এর দফা (গ) ও (ঘ) এর অধীন উপজেলা পরিষদের সদস্য থাকিবেন না এবং এইরূপ সদস্য না থাকিলে উক্ত উপজেলা পরিষদ গঠনের বৈধতা ক্ষুণ্ন হইবে না।

(৪) প্রত্যেক উপজেলার এলাকাভুক্ত ইউনিয়ন পরিষদ এবং পৌরসভা, যদি থাকে, এর মোট সংখ্যার এক-তৃতীয়াংশের সম সংখ্যক আসন, অতঃপর সংরক্ষিত আসন বলিয়া উল্লিখিত, মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত থাকিবে, যাহারা উক্ত উপজেলার এলাকাভুক্ত ইউনিয়ন পরিষদ ও পৌরসভা, যদি থাকে, এর সংরক্ষিত আসনের মহিলা সদস্য বা কাউন্সিলরগণ কর্তৃক তাহাদের মধ্য হইতে নির্বাচিত হইবেন :

তবে শর্ত থাকে যে, এই ধারায় কোন কিছুই কোন মহিলাকে সংরক্ষিত আসন বহির্ভূত আসনে সরাসরি নির্বাচন করিবার অধিকারকে বারিত করিবে না।

ব্যাখ্যা : এই উপ-ধারার অধীন সংরক্ষিত আসনে সংখ্যা নির্ধারণের ক্ষেত্রে, যদি উক্ত সংখ্যার ভগ্নাংশ থাকে এবং উক্ত ভগ্নাংশ অর্ধেক বা তদূর্ধ্ব হয়, তবে উহাকে পূর্ণ সংখ্যা বলিয়া গণ্য করিতে হইবে এবং যদি উক্ত ভগ্নাংশ অর্ধেকের কম হয়, তবে উহাকে উপেক্ষা করিতে হইবে।

(৫) উপ-ধারা (১) এর অধীন উপজেলা পরিষদ গঠিত হইবার পর উহার অধিক্ষেত্রের মধ্যে নূতন পৌরসভা কিংবা ইউনিয়ন পরিষদ গঠিত হইবার কারণে উপজেলা পরিষদের পরবর্তী নির্বাচন অনুষ্ঠান না হওয়া পর্যন্ত উপ-ধারা (৪) এ উল্লিখিত আসন সংখ্যার কোন পরিবর্তন ঘটিবে না এবং এই কারণে বিদ্যমান উপজেলা পরিষদ গঠনের বৈধতা ক্ষুণ্ন হইবে না।

(৬) উপ-ধারা (১) এর দফা (গ) ও (ঘ) তে উল্লিখিত ব্যক্তি এই আইনের অধীন পরিষদের সদস্য হিসাবে নির্বাচিত হইয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবেন।
[ (৭) কোন পরিষদের চেয়ারম্যান ও দুইজন ভাইস চেয়ারম্যান এই তিনটি পদের মধ্যে যে কোন একটি পদসহ শতকরা ৭৫ ভাগ সদস্যের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হইলে এবং নির্বাচিত সদস্যগণের নাম সরকারি গেজেটে প্রকাশিত হইলে, পরিষদ, এই আইনের অন্যান্য বিধান সাপেক্ষে, যথাযথভাবে গঠিত হইয়াছে বলিয়া বিবেচিত হইবে;]
[ (৮) উপ-ধারা (৭) এর বিধান অনুসারে পরিষদ যথাযথভাবে গঠিত না হওয়া পর্যন্ত অথবা ধারা ১৪ এর বিধান অনুসারে একই সময়ে চেয়ারম্যান ও দুইজন ভাইস চেয়ারম্যান এই তিনটি পদই শূন্য হইলে বা থাকিলে পরিষদের যাবতীয় দায়িত্ব সরকার কর্তৃক নিয়োজিত ব্যক্তি বা কতৃর্পক্ষ সরকার কতৃর্ক নির্ধারিত পদ্ধতিতে পালন করিবে।]]
   
 
   
     
   
পরিষদের মেয়াদ  
৭৷ ধারা ৫৩ এর বিধান সাপেক্ষে, পরিষদের মেয়াদ হইবে উহার প্রথম সভার তারিখ হইতে পাঁচ বৎসর:

তবে শর্ত থাকে যে, উক্ত মেয়াদ শেষ হওয়া সত্ত্বেও নির্বাচিত নূতন পরিষদ উহার প্রথম সভায় মিলিত না হওয়া পর্যন্ত পরিষদ কার্য চালাইয়া যাইবে৷
   
 
   
     
   
চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানের যোগ্যতা ও অযোগ্যতা  
[ ৮। (১) কোন ব্যক্তি উপ-ধারা (২) এর বিধান সাপেক্ষে, চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হইবার যোগ্য হইবেন, যদি-

(ক) তিনি বাংলাদেশের নাগরিক হন;

(খ) তাঁহার বয়স পঁচিশ বৎসর পূর্ণ হয়; এবং

(গ) তিনি ধারা ১৯ এ উল্লিখিত ভোটার তালিকাভুক্ত হন।

(২) কোন ব্যক্তি চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হইবার এবং থাকিবার যোগ্য হইবেন না, যদি তিনি-

(ক) বাংলাদেশের নাগরিকত্ব পরিত্যাগ করেন বা হারান;

(খ) কোন উপযুক্ত আদালত কর্তৃক অপ্রকৃতিস্থ বলিয়া ঘোষিত হন;

(গ) দেউলিয়া ঘোষিত হন এবং দেউলিয়া ঘোষিত হইবার পর দায় হইতে অব্যাহতি লাভ না করিয়া থাকেন;

(ঘ) কোন নৈতিক স্খলনজনিত ফৌজদারি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হইয়া অন্যূন দুই বৎসর কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন এবং তাঁহার মুক্তি লাভের পর পাঁচ বৎসর অতিবাহিত না হইয়া থাকে;

(ঙ) প্রজাতন্ত্রের বা পরিষদের অন্য কোন স্থানীয় কর্তৃপক্ষের কোন লাভজনক পদে সার্বক্ষণিক অধিষ্ঠিত থাকেন;

(চ) তিনি জাতীয় সংসদে সদস্য বা অন্য কোন স্থানীয় কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান বা সদস্য হন বা থাকেন;

(ছ) কোন বিদেশী রাষ্ট্র হইতে অনুদান বা তহবিল গ্রহণ করে এইরূপ বেসরকারি সংস্থার প্রধান নির্বাহী পদ হইতে পদত্যাগ বা অবসর গ্রহণ বা পদচ্যুতির পর এক বৎসর অতিবাহিত না হইয়া থাকেন;

(জ) কোন সমবায় সমিতি এবং সরকারের মধ্যে সম্পাদিত চুক্তি ব্যতীত, সংশ্লিষ্ট উপজেলা এলাকায় সরকারকে পণ্য সরবরাহ করিবার জন্য বা সরকার কর্তৃক গৃহীত কোন চুক্তির বাস্তবায়ন বা সেবা কার্যক্রম সম্পাদনের জন্য, তাঁহার নিজ নামে বা তাঁহার ট্রাস্টি হিসাবে কোন ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গের নামে বা তাঁহার সুবিধার্থে বা তাঁহার উপলক্ষে বা কোন হিন্দু যৌথ পরিবারের সদস্য হিসাবে তাঁহার কোন অংশ বা স্বার্থ আছে এইরূপ চুক্তিতে আবদ্ধ হইয়া থাকেন;

ব্যাখ্যা।−উপরি-উক্ত দফা (জ) এর উল্লিখিত অযোগ্যতা কোন ব্যক্তির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে না যেই ক্ষেত্রে-

(অ) চুক্তিটিতে অংশ বা স্বার্থ তাঁহার উত্তরাধিকারসূত্রে বা উইলসূত্রে প্রাপক, নির্বাহক বা ব্যবস্থাপক হিসাবে হস্তান্তরিত হয়, যদি না উহা হস্তান্তরিত হইবার পর ছয় মাস অতিবাহিত হয়; অথবা

(আ) কোম্পানী আইন, ১৯৯৪ (১৯৯৪ সনের ১৮ নং আইন) এ সংজ্ঞায়িত কোন পাবলিক কোম্পানীর দ্বারা বা পক্ষে চুক্তিটি সম্পাদিত হইয়াছে যাহার তিনি একজন শেয়ারহোল্ডার মাত্র, তবে উহার অধীন তিনি কোন লাভজনক পদে অধিষ্ঠিত পরিচালকও নহেন ম্যানেজিং এজেন্টও নহেন; অথবা

(ই) তিনি কোন যৌথ হিন্দু পরিবারের সদস্য হিসাবে চুক্তিটিতে তাঁহার অংশ বা স্বার্থ নাই এইরূপ কোন স্বতন্ত্র ব্যবসা পরিচালনাকালে পরিবারের অন্য কোন সদস্য কর্তৃক চুক্তি সম্পাদিত হইয়া থাকে;

(ঝ) তাহার পরিবারের কোন সদস্য সংশ্লিষ্ট উপজেলার কার্য সম্পাদনে বা মালামাল সরবরাহের জন্য ঠিকাদার নিযুক্ত হন বা ইহার জন্য নিযুক্ত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের অংশীদার হন বা উপজেলার কোন বিষয়ে তাঁহার কোন প্রকার আর্থিক স্বার্থ থাকে;

ব্যাখ্যা।−দফা (ঝ) এর উদ্দেশ্য সাধনকল্পে ‘‘পরিবার’’ অর্থে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির উপর নির্ভরশীল তাহার পিতা, মাতা, ভাই, বোন, স্ত্রী, পুত্র ও কন্যাকে বুঝাইবে।

(ঞ) মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার তারিখে কোন ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান হইতে গৃহীত কোন ঋণ মেয়াদোত্তীর্ণ অবস্থায় অনাদায়ী রাখেনঃ

তবে শর্ত থাকে যে, কোন ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান হইতে গৃহীত নিজস্ব বসবাসের নিমিত্ত গৃহ-নির্মাণ অথবা ক্ষুদ্র কৃষি ঋণ ইহার আওতাভুক্ত হইবে না;

(ট) এমন কোন কোম্পানীর পরিচালক বা ফার্মের অংশীদার হন যাহার কোন ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান হইতে গৃহীত কোন ঋণ বা উহার কোন কিস্তি, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার তারিখে পরিশোধে খেলাপী হইয়াছেন;

ব্যাখ্যা।− উপরি-উক্ত দফা (ঞ) ও (ট) এর উদ্দেশ্য সাধনকল্পে ‘‘খেলাপী’’ অর্থ ঋণ গ্রহীতা ছাড়াও যিনি বা যাঁহাদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট কোম্পানী বা ফার্ম Banker’s Book of Account এ ঋণ খেলাপী হিসাবে চিহ্নিত আছে তাঁহাদেরকেও বুঝাইবে।

(ঠ) পরিষদের নিকট হইতে কোন ঋণ গ্রহণ করেন এবং তাহা অনাদায়ী থাকে;

(ড) সরকার কর্তৃক নিয়োগকৃত নিরীক্ষকের প্রতিবেদন অনুযায়ী নির্ধারিত দায়কৃত অর্থ পরিষদকে পরিশোধ না করিয়া থাকেন;

(ঢ) কোন সরকারি বা আধা-সরকারি দপ্তর, কোন সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষ, স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা, স্থানীয় কর্তৃপক্ষ, সমবায় সমিতি বা প্রতিরক্ষা কর্ম বিভাগের চাকুরী হইতে নৈতিক স্খলন, দুর্নীতি, অসদাচরণ ইত্যাদি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হইয়া চাকুরীচ্যুত, অপসারিত বা বাধ্যতামূলক অবসরপ্রাপ্ত হইয়াছেন এবং তাঁহার এইরূপ চাকুরীচ্যুতি, অপসারণ বা বাধ্যতামূলক অবসরের পর পাঁচ বৎসর কাল অতিক্রান্ত না হইয়া থাকে;

(ণ) উপজেলা পরিষদের তহবিল তসরূফের কারণে দণ্ডপ্রাপ্ত হন;

(ত) বিগত পাঁচ বৎসরের মধ্যে যে কোন সময়ে দণ্ডবিধির ধারা ১৮৯, ১৯২, ২১৩, ৩৩২,৩৩৩ ও ৩৫৩ এর অধীন দোষী সাব্যস্ত হইয়া সাজাপ্রাপ্ত হন;

(থ) জাতীয় বা আন্তর্জাতিক আদালত বা ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক যুদ্ধাপরাধী হিসাবে দোষী সাব্যস্ত হন;

(দ) কোন আদালত কর্তৃক ফেরারী আসামী হিসাবে ঘোষিত হন।

(৩) প্রত্যেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় এই মর্মে একটি হলফনামা দাখিল করিবেন যে, উপ-ধারা (২) এর অধীন তিনি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচনের অযোগ্য নহেন।]
   
 
   
     
   
১০[ চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ] ও সদস্যগণের শপথ  
৯৷ (১) ১১[ চেয়ারম্যান,ভাইস চেয়ারম্যান] ও প্রত্যেক সদস্য তাঁহার কার্যভার গ্রহণের পূর্বে নিম্নলিখিত ফরমে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত কোন ব্যক্তির সম্মুখে শপথ গ্রহণ বা ঘোষণা করিবেন এবং শপথপত্র বা ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর দান করিবেন, যথা:-
 

১২[ শপথপত্র বা ঘোষণাপত্র



আমি...............................................................................................................

.........পিতা/স্বামী..............................................................................................

...............................................................জেলা........................

.....................................................উপজেলার চেয়ারম্যান/ভাইস চেয়ারম্যান/ সদস্য নির্বাচিত হইয়া সশ্রদ্ধচিত্তে শপথ (বা দৃঢ়ভাবে ঘোষণা) করিতেছি যে, আমি ভীতি বা অনুগ্রহ, অনুরাগ বা বিরাগের বশবর্তী না হইয়া সকলের প্রতি আইন অনুযায়ী এবং সততা, নিষ্ঠা ও বিশ্বস্ততার সহিত আমার পদের দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করিব। আমি বাংলাদেশের প্রতি অকৃত্রিম বিশ্বাস ও আনুগত্য পোষণ করিব।
 
স্বাক্ষর]

১৩[ (২) চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান বা মহিলা সদস্য হিসাবে নির্বাচিত ব্যক্তিগণের নাম সরকারি গেজেটে প্রকাশিত হওয়ার ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে চেয়ারম্যানসহ সকল সদস্যের শপথ গ্রহণ বা ঘোষণার জন্য সরকার বা তদকতৃর্ক নির্ধারিত কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেনঃ

তবে শর্ত থাকে যে, যথাযথ কারণ বিদ্যমান থাকার ক্ষেত্রে সরকার বা তদকর্তৃক নির্ধারিত কর্তৃপক্ষ উল্লিখিত মেয়াদ অতিবাহিত হইবার পর মেয়াদ বর্ধিত করিতে পারিবে, তবে এইরূপ বর্ধিত মেয়াদ উল্লিখিত গেজেট বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হওয়ার তারিখ হইতে কোনক্রমেই নববই দিন অতিক্রম করিবে না।]
   
 
   
     
   
সম্পত্তি সম্পর্কিত ঘোষণা  
১০৷ ১৪[ চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান ] তাঁহার কার্যভার গ্রহণের পূর্বে তাঁহার এবং তাঁহার পরিবারের কোন সদস্যের স্বত্ব, দখল বা স্বার্থ আছে এই প্রকার যাবতীয় স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তির একটি লিখিত বিবরণ সরকার কর্তৃক নির্ধারিত পদ্ধতিতে ও নির্ধারিত ব্যক্তির নিকট দাখিল করিবেন৷

ব্যাখ্যা৷- “পরিবারের সদস্য” বলিতে ১৫[ চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানের] স্বামী বা স্ত্রী এবং তাঁহার সংগে বসবাসকারী এবং তাঁহার উপর সম্পূর্ণভাবে নির্ভরশীল তাঁহার ছেলে-মেয়ে, পিতা-মাতা ও ভাই-বোনকে বুঝাইবে৷
   
 
   
     
   
১৬[ চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান ] ও সদস্যগণের সুযোগ-সুবিধা  
১১৷ ১৭[ চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান] ও সদস্যগণের ছুটি এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে৷
   
 
   
     
   
১৮[ চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা সদস্যগণের] পদত্যাগ  
১২৷ (১) সরকারের উদ্দেশ্যে স্বাক্ষরযুক্ত পত্রযোগে ১৯[ চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা সদস্যগণ] স্বীয় পদ ত্যাগ করিতে পারিবেন৷

(২) পদত্যাগ গৃহীত হইবার তারিখ হইতে পদত্যাগ কার্যকর হইবে এবং পদত্যাগকারীর পদ শূন্য হইবে৷
   
 
   
     
   
চেয়ারম্যান ইত্যাদির অপসারণ  
২০[ ১৩।(১) চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান বা মহিলা সদস্যসহ যে কোন সদস্য তাঁহার স্বীয় পদ হইতে অপসারণযোগ্য হইবেন, যদি তিনি-

(ক) যুক্তিসঙ্গত কারণ ব্যতিরেকে পরিষদের পর পর তিনটি সভায় অনুপস্থিত থাকেন;

(খ) পরিষদ বা রাষ্ট্রের স্বার্থের হানিকর কোন কার্যকলাপে জড়িত থাকেন অথবা নৈতিক স্খলনজনিত অপরাধে আদালত কর্তৃক দণ্ডপ্রাপ্ত হন;

(গ) অসদাচরণ, দুর্নীতি বা ক্ষমতার অপব্যবহারের দায়ে দোষী সাব্যস্ত হন অথবা পরিষদের কোন অর্থ বা সম্পত্তির ক্ষতি সাধন বা উহার আত্মসাতের বা অপপ্রয়োগের জন্য দায়ী হন;

(ঘ) তাঁহার দায়িত্ব পালন করিতে অস্বীকার করেন অথবা শারীরিক বা মানসিক অসামর্থ্যের কারণে তাঁহার দায়িত্ব পালনে অক্ষম হন;

(ঙ) নির্বাচনের পর ধারা ৮ (২) অনুযায়ী নির্বাচনের অযোগ্য ছিলেন মর্মে প্রমাণিত হন;

(চ) বার্ষিক ১২(বার)টি মাসিক সভার মধ্যে ন্যূনতম ৯ (নয়)টি সভায় গ্রহণযোগ্য কারণ ব্যতিরেকে যোগদান করিতে ব্যর্থ হন;

[ব্যাখ্যা।−(অ) এই উপ-ধারায় বর্ণিত ‘অসদাচরণ’ বলিতে ক্ষমতার অপব্যবহার,ধারা ১০ অনুযায়ী সম্পত্তি সম্পর্কিত ঘোষণা প্রদান না করা কিংবা অসত্য হলফনামা দাখিল করা, আইন ও বিধির পরিপন্থী কার্যকলাপ, দুর্নীতি, অসদুপায়ে ব্যক্তিগত সুবিধা গ্রহণ, পক্ষপাতিত্ব, স্বজনপ্রীতি, ইচ্ছাকৃত অপশাসন, ইত্যাদি বুঝাইবে।

(আ) এই উপ-ধারায় বর্ণিত ‘নৈতিক স্খলনজনিত অপরাধ’ বলিতে দণ্ডবিধিতে সংজ্ঞায়িত চাঁদাবাজি, চুরি, দস্যুতা, ডাকাতি, ছিনতাই, সম্পত্তি আত্মসাৎ, বিশ্বাস ভংগ, ধর্ষণ, হত্যা, খুন এবং Prevention of Corruption Act, 1947 (Act. II of 1947) এ সংজ্ঞায়িত "Criminal misconduct" ইত্যাদি বুঝাইবে।]

(২) সরকার, সরকারি গেজেট প্রজ্ঞাপন দ্বারা উপ-ধারা (১) এ বর্ণিত কারণে চেয়ারম্যান বা ভাইস চেয়ারম্যান বা মহিলা সদস্য বা যে কোন সদস্যকে অপসারণ করিতে পারিবেঃ

তবে শর্ত থাকে যে, অপসারণের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করিবার পূর্বে, বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে, তদন্ত করিতে ও অভিযুক্তকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দিতে হইবে।

(৩) একজন চেয়ারম্যান বা ভাইস চেয়ারম্যান বা মহিলা সদস্য বা যে কোন সদস্য উপ-ধারা (২) অনুসারে সরকার কর্তৃক আদেশ প্রদানের পর তাৎক্ষণিকভাবে অপসারিত হইবেন।

(৪) চেয়ারম্যান বা ভাইস চেয়ারম্যান বা মহিলা সদস্য বা অন্য কোন সদস্যকে উপ-ধারা (২) অনুযায়ী তাঁহার পদ হইতে অপসারণ করা হইলে, উক্ত অপসারণ আদেশের তারিখ হইতে ত্রিশ দিনের মধ্যে তিনি সরকারের নিকট উক্ত আদেশ পুনর্বিবেচনার জন্য আবেদন করিতে পারিবেন।

(৫) উপ-ধারা (৪) এর অধীন পুনর্বিবেচনার জন্য আবেদন করা হইলে উহা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত উপ-ধারা (২) এ প্রদত্ত অপসারণ আদেশটি স্থগিত রাখিতে পারিবেন এবং আবেদনকারীকে বক্তব্য উপস্থাপনের সুযোগ প্রদানের পর উক্ত আদেশটি পরিবর্তন, বাতিল বা বহাল রাখিতে পারিবেন।

(৬) উপ-ধারা (৫) এর অধীন সরকার কর্তৃক প্রদত্ত আদেশ চূড়ান্ত বলিয়া গণ্য হইবে।

(৭) এই আইনের অন্যান্য বিধানে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই ধারা অনুযায়ী অপসারিত কোন ব্যক্তি কোন পদে অবশিষ্ট মেয়াদের জন্য নির্বাচিত হইবার যোগ্য হইবেন না।]
   
 
   
     
   
অনাস্থা প্রস্তাব  
২১[ ১৩ক। (১) এ আইনের কোন বিধান লংঘন বা গুরুতর অসদাচরণের অভিযোগে বা শারীরিক বা মানসিক অসামর্থ্যের কারণে পরিষদের চেয়ারম্যান বা ভাইস চেয়ারম্যান বা মহিলা সদস্য বা অন্য কোন সদস্যের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনয়ন করা যাইবে।

(২) উপ-ধারা (১) অনুযায়ী অনাস্থা প্রস্তাব পরিষদের চার-পঞ্চমাংশ সদস্যের স্বাক্ষরে লিখিতভাবে সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় কমিশনারের নিকট দাখিল করিতে হইবে।

(৩) অনাস্থা প্রস্তাব প্রাপ্তির পর বিভাগীয় কমিশনার অভিযোগের বিষয় সম্পর্কে তদন্ত করিবার উদ্দেশ্যে পনের কার্যদিবসের মধ্যে অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনারকে তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করিবেন এবং উক্ত কর্মকর্তা অভিযোগসমূহের বিষয়ে বক্তব্য প্রদানের জন্য দশ কার্যদিবসের সময় প্রদান করিয়া অভিযুক্ত চেয়ারম্যান বা ভাইস চেয়ারম্যান বা মহিলা সদস্য বা অন্য কোন সদস্যকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিবেন।

(৪) উপ-ধারা (৩) এর অধীন প্রদত্ত কারণ দর্শানোর জবাব সন্তোষজনক বিবেচিত না হইলে তদন্ত কর্মকর্তা জবাব প্রাপ্তির অনধিক ত্রিশ কার্যদিবসের মধ্যে অনাস্থা প্রস্তাবে যে সকল অভিযোগের বর্ণনা করা হইয়াছে, সে সকল অভিযোগ তদন্ত করিবেন।

(৫) উপ-ধারা (৪) অনুযায়ী তদন্ত করিবার পর সংশ্লিষ্ট অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হইলে তদন্ত কর্মকর্তা অনধিক পনের কার্যদিবসের মধ্যে অভিযুক্ত চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান বা মহিলা সদস্য বা অন্য কোন সদস্যসহ ভোটাধিকার সম্পন্ন সংশ্লিষ্ট সকল সদস্যের নিকট সভার নোটিশ প্রেরণ নিশ্চিতকরণপূর্বক পরিষদের বিশেষ সভা আহবান করিবেন।

(৬) চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবের ক্ষেত্রে প্যানেল চেয়ারম্যান (ক্রমানুসারে) এবং কোন ভাইস চেয়ারম্যান বা মহিলা সদস্যের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবের ক্ষেত্রে পরিষদের চেয়ারম্যান সভায় সভাপতিত্ব করিবেনঃ

তবে শর্ত থাকে যে, চেয়ারম্যান বা প্যানেল চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতিতে উপস্থিত সদস্যগণের মধ্য হইতে যেকোন একজন সদস্যকে ঐকমত্যের ভিত্তিতে সভাপতি নির্বাচিত করা যাইবে।

(৭) উপ-ধারা (৩) অনুযায়ী নিযুক্ত তদন্ত কর্মকর্তা সভায় একজন পর্যবেক্ষক হিসাবে উপস্থিত থাকিবেন।

(৮) পরিষদের মোট সদস্য সংখ্যার চার-পঞ্চমাংশ সদস্য সমন্বয়ে সভার কোরাম গঠিত হইবে।

(৯) উপ-ধারা (১) এর উদ্দেশ্যে আহুত সভা কোরাম বা নিয়ন্ত্রণ বহির্ভূত কোন কারণ ব্যতিরেকে স্থগিত করা যাইবে না এবং সভা আরম্ভ হইবার তিন ঘণ্টার মধ্যে উন্মুক্ত আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ সম্ভব না হইলে অনাস্থা প্রস্তাবটির উপর গোপন ব্যালটের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ করিতে হইবে।

(১০) সভার সভাপতি অনাস্থা প্রস্তাবের পক্ষে বা বিপক্ষে কোন প্রকাশ্য মতামত প্রকাশ করিবেন না, তবে তিনি ব্যালটের মাধ্যমে উপ-ধারা (৯) অনুযায়ী ভোট প্রদান করিতে পারিবেন, কিন্তু তিনি নির্ণায়ক বা দ্বিতীয় ভোট প্রদান করিতে পারিবেন না।

(১১) অনাস্থা প্রস্তাবটি পরিষদের কমপক্ষে চার-পঞ্চমাংশ সদস্য কর্তৃক ভোটে গৃহীত হইতে হইবে।

(১২) উপ-ধারা (৩) অনুযায়ী নিযুক্ত তদন্ত কর্মকর্তা সভা শেষ হইবার পর অনাস্থা প্রস্তাবের কপি, ব্যালট পেপার, ভোটের ফলাফলসহ সভার কার্যবিবরণী প্রস্তুত করিয়া আনুষঙ্গিক কাগজপত্র সরকারের নিকট প্রেরণ করিবেন।

(১৩) সরকার উপযুক্ত বিবেচনা করিলে অনাস্থা প্রস্তাব অনুমোদন অথবা অননুমোদন করিবে। এই ক্ষেত্রে সরকারের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলিয়া গণ্য হইবে এবং সরকার কর্তৃক অনাস্থা প্রস্তাবটি অনুমোদিত হইলে সংশ্লিষ্ট চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, মহিলা সদস্য বা অন্য কোন সদস্যের আসনটি সরকার গেজেট প্রজ্ঞাপন দ্বারা শূন্য বলিয়া ঘোষণা করিবে।

(১৪) অনাস্থা প্রস্তাবটি প্রয়োজনীয় সংখ্যক ভোটে গৃহীত না হইলে অথবা কোরামের অভাবে সভা অনুষ্ঠিত না হইলে উক্ত তারিখের পর ছয় মাস অতিক্রান্ত না হওয়া পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান বা মহিলা সদস্যের বিরুদ্ধে অনুরূপ কোন অনাস্থা প্রস্তাব আনয়ন করা যাইবে না।

(১৫) পরিষদের কোন চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান বা মহিলা সদস্য বা অন্য কোন সদস্য দায়িত্বভার গ্রহণের ছয় মাসের মধ্যে তাহার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনয়ন করা যাইবে না।
   
 
   
     
   
চেয়ারম্যান বা ভাইস চেয়ারম্যান বা মহিলা সদস্যগণের বা অন্যান্য সদস্যগণের সাময়িক বরখাস্তকরণ  
১৩খ। (১) যেই ক্ষেত্রে কোন পরিষদের চেয়ারম্যান বা ভাইস চেয়ারম্যান বা মহিলা সদস্যের বিরুদ্ধে ধারা ১৩ অনুসারে অপসারণের জন্য কার্যক্রম আরম্ভ করা হইয়াছে অথবা উপযুক্ত আদালত কর্তৃক কোন ফৌজদারি মামলায় অভিযোগপত্র গৃহীত হইয়াছে সেই ক্ষেত্রে সরকারের বিবেচনায় উক্ত চেয়ারম্যান বা ভাইস চেয়ারম্যান বা মহিলা সদস্য বা অন্য কোন সদস্য কর্তৃক ক্ষমতা প্রয়োগ জনস্বার্থের পরিপন্থী হইলে, সরকার লিখিত আদেশের মাধ্যমে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, বা মহিলা সদস্য বা অন্য কোন সদস্যকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করিতে পারিবে।

(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন চেয়ারম্যানকে সাময়িকভাবে বরখাস্তের আদেশ প্রদান করা হইলে আদেশ প্রাপ্তির তিন দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট চেয়ারম্যান ধারা ১৫ এর বিধানমতে নির্বাচিত প্যানেল চেয়ারম্যানের নিকট দায়িত্ব হস্তান্তর করিবেন এবং উক্ত প্যানেল চেয়ারম্যান সাময়িক বরখাস্তকৃত চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আনীত কার্যক্রম শেষ না হওয়া পর্যন্ত অথবা চেয়ারম্যান অপসারিত হইলে তাঁহার স্থলে নতুন চেয়ারম্যান নির্বাচিত না হওয়া পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করিবেন।

(৩) উপ-ধারা (১) এর অধীন উপজেলা পরিষদের কোন ভাইস চেয়ারম্যান বা মহিলা সদস্যকে সাময়িকভাবে বরখাস্তের আদেশ প্রদান করা হইলে উক্ত ভাইস চেয়ারম্যান বা মহিলা সদস্যের বিরুদ্ধে আনীত কার্যক্রম শেষ না হওয়া পর্যন্ত অথবা উক্ত ভাইস চেয়ারম্যান বা মহিলা সদস্য অপসারিত হইলে তাঁহার স্থলে নতুন ভাইস চেয়ারম্যান বা মহিলা সদস্য নির্বাচিত না হওয়া পর্যন্ত পরিষদের সিদ্ধান্তক্রমে অপর একজন ভাইস চেয়ারম্যান বা মহিলা সদস্য উক্ত দায়িত্ব পালন করিবেন।
   
 
   
     
   
সদস্যপদ পুনর্বহাল  
১৩গ। উপ
ডাউনলোড