কোম্পানীগঞ্জ উপজেলাঃ শস্য শ্যামল, পাখি ডাকা তাল তমাল, নারিকেল ও সুপারি কুঞ্জ আর সোনালী ধানের মাঠ সমৃদ্ধ কোম্পানীগঞ্জ। বঙ্গোপসাগরের উত্তাল ঢেউয়ের তরঙ্গমালা ক্রীড়া নৈপূণ্যে জেগে উঠেছে পলিমাটি বিধৌত এই সাগর তীর।এই সমতট অঞ্চলটি বৈদিক যুগেই ( ১৪০০ ও ১৫০০ খৃষ্টাব্দ পূর্বে ) জনবসতির উপযোগী হয়েছিল, তার প্রমাণ মেলে মহাভারতের ঘটনা পঞ্জিতে। কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার আয়তন ৩২৪ বর্গ কিলোমিটার। উত্তরে সেনবাগ ও দাগনভূঁইয়া উপজেলা, পূর্বে সোনাগাজী ও মিরসরাই উপজেলা, দক্ষিণে সন্দ্বীপ ও সূবর্ণচর উপজেলা এবং পশ্চিমে কবিরহাট উপজেলা।
কোম্পানীগঞ্জের নামকরণের ইতিহাস খুঁজলে জানা যায়, কোম্পানীগঞ্জ তথা যোগিদীয়া ছিল বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক সমুদ্রবন্দর। ১৭৫৩ সালে এই স্থানে ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী কুঠি স্থাপন করে ব্যবসা-বাণিজ্য শুরু করে। ১৭৫৬ সালে কোম্পানী একটি বস্ত্রকল স্থাপন করে, পরে ফরাসীরাও এখানে বিশাল কাপড়ের কল স্থাপন করে এবং স্থানীয় যোগী (তাঁতী) দের উৎপাদিত দেশীয় বস্ত্রসহ এসব কাপড় এবং লবন যোগিদীয়া সমুদ্রবন্দর দিয়ে বিদেশে রপ্তানী হত। ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী নামানুসারে পরবর্তীতে এই স্থানের নামকরণ করা হয় কোম্পানীগঞ্জ। এই কোম্পানীগঞ্জের যোগিদীয়ায় চন্দ্রদ্বীপ, বাকলা, ভূষনা, বিক্রমপুর, মেহেরকূল অঞ্চলের পন্ডিতদের সম্মেলন বসতো এবং বৃটিশ বিরোধী আন্দোলনের সৈনিক মাষ্টারদা সূর্যসেন, অনন্তসিংহ, লোকনাথ বল, বিভুতি ভূষণ ভট্টাচার্য, হারানঘোষ প্রভুত এখানে বৈঠক করতেন। কোম্পানীগঞ্জ ৮টি ইউনিয়ন চর এলাহী, চর ফকিরা, চর হাজারী , চর কাঁকড়া , চর পার্বতী , মূসাপুর , রামপুর , সিরাজপুর ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত। ১৯৮৩ সনের ২ জুলাই উপজেলাটি উদ্বোধন করা হয়। উপজেলার দর্শনীয় স্থান ঃ মুসাপুর রেগুলেটর, শাহজাদপুর সুন্দলপুর গ্যাস ক্ষেত্র, ছোট ফেনী নদী ও গুচ্ছ গ্রাম উল্লেখযোগ্য
মহিষের দধি: নোয়াখালীর অনেক গুলো ঐতিহ্যর মধ্যে একটি মহিষের দধি। নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ ও সুবর্ণচর উপজেলা প্রত্যন্ত আঞ্চল থেকে মহিষের দধি সংগ্রহ করা হয় । উৎপাদিত মহিষের দধি খুবই সুস্বাদু এবং এই এলাকায় খুবই জনপ্রিয়।
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS